ভোটের পরেই ফের হাওয়াবদল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যেসব তাবড় নেতারা বিজেপিতে ভিড়ে ছিলেন এখন তাঁরা ফিরতে চেয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। সোনালী গুহ থেকে দীপেন্দু বিশ্বাস সরাসরি ফিরতে চেয়েছেন। আর মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণেও তার খানিক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন শতাধিক কর্মী–সমর্থক।
সূত্র অনুযায়ী, কেতুগ্রামের প্রায় ১৫০ বিজেপি কর্মী–সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। তবে তাঁদের কোন কৌশলী পথ ধরতে হয়নি। সরাসরি ভুল স্বীকার করে ঘরওয়াপসি হয়েছেন। তাঁরাই জানান, এলাকায় বিজেপি সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই। মঙ্গলবার কাঁদরা ও রাজুর গ্রামে শিবির করে বিজেপি থেকে আসা কর্মী–সমর্থকদের দলে ফেরানো হয়। এই বিষয়ে কেতুগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, “দলীয় স্তরে এই বিষযে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, দলত্যাগীদের বারংবার আর্জিতে যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।”
এদিন তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সেখ শাহনাওয়াজের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা তুলে নেন বিজেপি কর্মীরা। যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কান্দরা অঞ্চলের বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক পিন্টু দাস, দলের আইটি সেলের মণ্ডল পরিচালক বীর প্রধান এবং বেশ কয়েকজন বুথ সভাপতি। এই কর্মীদের দাবি, “দলের পরাজয়ের পর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলাম। দলের কোনও নেতা, কর্মীর খোঁজ করেননি। রাজ্য সভাপতি আমাদের ইঙ্গিত দেন তোমরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দাও। কান্দরা অঞ্চলের মণ্ডল সভাপতি পিন্টু দাস জানান, করোনা আবহে আমাদের পাশে কেউ নেই। তাই দল ছেড়ে দিলাম।”