কথায় আছে, জহুরির চোখ মিথ্যে হয় না। ভিড়ের মধ্যেও আসল সোনা ঠিক খুঁজে নেয়। একসময় দীর্ঘ ৮ বছর সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন। তবে পুরোনো দলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালে। এরপরই ‘আসল সোনার’ কদর বুঝে তাঁকে নিজের দলে নিয়ে আসেন ‘জহুরি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক পদে তরুণ মুখেদের তালিকাতেও থাকলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেলেন ঋতব্রত।
নতুন দায়িত্ব পেয়েই সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানান ঋতব্রত। শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েই তিনি কৃতজ্ঞতা জানান দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আসল বামপন্থী। অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য মমতা যেই কাজ করেছেন, সেই কাজগুলো অনেক আগেই বামপন্থীদের করার কথা ছিল বলে জানান তিনি।
গত এক বছর ধরে মূলত শ্রমিক সংগঠনের মধ্যেও কাজ করেছেন তিনি। একদিকে বিজেপির শ্রমিক বিরোধী নীতি, আর অন্যদিকে এই রাজ্য সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রতিটি শ্রমিক পরিবারের অন্দরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেও তিনি কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন। ঋতব্রত বলছেন, দলের সিনিয়র ট্রেড ইউনিয়ন নেতা যাঁরা রয়েছেন যেমন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, দোলা সেন- এঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলবেন।
এছাড়াও তিনি বলেন যে, চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বর্তমান সরকারের আমলে ৩৯৩ স্কোয়ার ফিটের কোয়ার্টার বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে মোট ২ লক্ষ ৬৪ হাজার এরকম বাড়ি তৈরি হবে। ২০১১ সালের আগে বাম আমলে এই শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ছিল ৬৭ টাকা। এখন তৃণমূল সরকারের আমলে তা বেড়ে হয়েছে ২০২ টাকা। ঋতব্রত বলেন, ৩৪ বছরের বাম শাসনের সময় কিন্তু এসব হয়নি। এখন দেখার, নয়া দায়িত্ব পেয়ে কেমন ইনিংস খেলেন এই তরুণ নেতা।