বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার যশ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে চালু হয়ে গেল ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প। আগামী ১৫ দিন খোলা থাকবে ওই শিবির। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রথম দিন থেকেই শিবিরগুলিতে কোভিড বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রতিটি ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশদে জানাতে পারবেন। নাম নথিভুক্ত হওয়ার হবে তদন্ত। তারপরই সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য পাবে ক্ষতিগ্রস্তরা। ১লা জুন থেকে ৭ই জুনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে আর্থিক সাহায্য। অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রতিটি শিবিরে কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি শিবিরে আবেদনকারীদের থার্মাল গানের মাধ্যমে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেও।
প্রসঙ্গত, যশ ঘূর্ণিঝড় এবং পূর্ণিমার কটালে জলোচ্ছ্বাসের জেরে বাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। যার চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। ভেঙে পড়ে অসংখ্য মাটির বাড়ি। বিঘের পর বিঘে চাষ জমিও চলে যায় জলের তলায়। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কয়েক হাজার মানুষ। প্রশাসনের হিসাব, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১১টি পুর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ। সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকা ছাড়াও জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিতে সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবির তৈরি চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই।