গতকাল কলাইকুন্ডায় বাংলায় ঘূর্ণিঝড় যশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা হয়েছে। আবার উড়িষ্যায় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে যে বৈঠক করেন মোদী, সেখানেও ডাক পেয়েছিলেন সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ঘটনাচক্রে যিনি বিজেপির। এ নিয়েই এবার পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগ আনল হাত শিবির।
বাংলায় যশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে ডাক পান সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কিন্তু গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ে টাউটের পর মোদীর প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাননি গুজরাতের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের পরেশ ধনানি। কেন এমন উলটপুরাণ? বিশেষত, মোদীর নিজের রাজ্যে? এবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন গুজরাতের কংগ্রেস নেতা ভারত সোলাঙ্কি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টুইটে সোলাঙ্কি লেখেন, ‘শুনে ভাল লাগছে, ঘূর্ণিঝড় যশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু গুজরাতে টাউটে পরবর্তী প্রশাসনিক বৈঠকে কিন্তু ডাক পাননি এখানকার বিরোধী দলনেতা।’ যদিও শুক্রবার রাতে একটি টুইটে সোলাঙ্কির করা প্রশ্নবাণ নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ গেরুয়া শিবিরের।
উল্লেখ্য, টাইটের পর গুজরাতের অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোদী। এদিকে, সোলাঙ্কির আগেই বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব টুইটারে লেখেন, ‘যশের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা দেখে ভাল লাগছে। কিন্তু যে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বিজেপির কেউ নন, সে রাজ্যে কি তাঁরা এই ধরনের প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাবেন?