ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে রীতিমত লণ্ডভণ্ড অবস্থা বাংলার সমুদ্র অঞ্চলগুলিতে। মন্দারমণির উপকূল লাগোয়া কোনও হোটেল ও রিসর্টই আর অক্ষত নেই। যার ফলে মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কর্মীদের বেতন-হোটেল মেরামতির টাকা, আসবে কোথা থেকে, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। এখন ভরসা বলতে সরকারি সাহায্য। যশের প্রভাবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল বাংলায়? সেই চিত্রটা এবার পরিষ্কার হচ্ছে ধীরে ধীরে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিক হিসেবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
তবে, দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করার পর প্রকৃত অবস্থাটা বোঝা যাবে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ও উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন তিনি। ঘোষণা করেছেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণে টাকা। বার্তা দিয়েছেন, ত্রাণ নিয়ে কোনওরকম কাপর্ণ্য করা চলবে না। এমনকী, কলাইকুণ্ডায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ানও তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্দারমণির কী অবস্থা? সেখানকার সমুদ্র উপকূল লাগোয়া এলাকায় হোটেল ও রিসর্টের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। ঘূর্ণিঝড়ে ৯০ শতাংশ হোটেল ও রিসর্ট ভেঙে গোটা এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। খাতায়-কলমে লকডাউন না হলেও, করোনা সতর্কতায় রাজ্যে এখন বিধিনিষেধের কড়াকড়ি চলছে। ফলে পর্যটকদের দেখা নেই মন্দারমনিতে। তার উপর এই বিপুল ক্ষতির ধাক্কায় বেসামাল পর্যটন ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি সাহায্য ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।