রাজ্য সরকারের তরফে ত্রাণের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন নবান্নে যশ নিয়ে রিভিউ মিটিং করার সময় সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন এই অর্থ মূলত চাষের জমির পুনরুদ্ধার, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পুননির্মাণ ও মেরামতি কাজে, ত্রাণের চাল, ডাল ও ত্রিপল দিতে ব্যবহার করা হবে। ৩ থেকে ১৮ জুন দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতবছর ঠিক এইসময়ে ‘উম্পুন’ ঝড়ের সময়েও রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য একটি আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড় রাজ্যে শুধুই ছুঁয়ে চলে গিয়েছে আর তার জেরেই পূর্ব মেদিনীপুর, সাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। এদিন মারা গিয়েছে বহু গবাদি পশু, পুকুরে কিংবা চাষের জমিতে নোনাজল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়ি ঘড় ভেঙেছে। আশ্রয় হীন মানুষেরা ত্রাণে রয়েছেন। তাদের বাড়ি তৈরি, চাষের কাজের জন্য সাহায্যে ও ক্ষয়ক্ষতি বাবদ আর্থিক সাহায্যের জন্য এই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজও অশোকনগরে অনেকগুলি বাড়ি ভেঙেছে। শান্তিপুর, নদিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বহরমপুরে বাজ পড়ে দু’জন মারা গিয়েছে। জল কমলে ফিল্ডে গিয়ে সার্ভে করা হবে।’
এদিন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, খাদ্য দফতর, পানীয় জল, প্রানীসম্পদ দফতর, মৎস্য দফতর, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বাঁধ ভাঙা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এত টাকা খরচ করে বাঁধ ও রাস্তা করা হচ্ছে, প্রত্যেক বছর ভেঙে যাচ্ছে। এবার থেকে যারা রাস্তার টেন্ডার নেবে তাদেরই তিনবছর বাঁধ ও রাস্তা দেখভাল করতে হবে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুন্ডায় প্রশাসনিক বৈঠকে যাবেন তার আগেই হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, সাগর পরিদর্শন করে বিস্তারিত রিপোর্ট নেবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই দীঘা ও পুর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে পর্যালোচনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি। তার সঙ্গে এই সফরে থাকবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।