ঘূর্ণিঝড়ের পরেও বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি থেকে আতঙ্ক কাটেনি। বিশেষ নদী সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে হতে পারে ভরা কোটাল। সাংবাদিক বৈঠকে এসে সাবধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইয়াস আছড়ে পড়ার আগে ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসায় বাঁচানো গিয়েছে। তাই আগামী দুদিনও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও যাঁদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে সাহায্য করবে রাজ্য। এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘সকলে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেই এখনও পর্যন্ত আমরা বাঁচাতে পেরেছি। একটাও ঘটনা ঘটেনি। একটাই ঘটনা ঘটেছে। একজন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান। যারা বিদ্যুতে বা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাঁদের রাজ্য সঠিক সময়ে সাহায্য করবে’।
তবে জলের তোড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তাই যাঁদের কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে এবং ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদেরকেও সরকার সঠিক সময়ে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তবে এদিনও গত বছরের উম্পুনের কথা তোলেন তিনি। এবং ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার পরেও কেন্দ্রের থেকে সাহায্য পাননি বলেও ফের জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলছেন, ‘প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, পশুপালন, ইলেকট্রিসিটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি গতবারও কয়েক হাজার কোটি টাকা উম্পুনে ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি আমরা কিছু পাইনি। এবং এবার কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটাও জানতে পারব পরে’।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বার বার বলেন, বৃহস্পতিবার আরও বড় বাণ আসতে পারে সমুদ্রে। পাশাপাশি তার সঙ্গে বৃষ্টিও হবে। ৫ ফুটের বাণ নদীতে দেখা যেতে পারে। তাই মানুষকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।