কিছুটা স্বস্তি ফিরল কলকাতাবাসীর বুকে। বিপদ কাটল তিলোত্তমার। আগামী কয়েক ঘণ্টা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশের জেরে কেবল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পরে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় উপত্যকায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বুধবার বেলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভরা কোটালের জেরে রাতের দিকে জলমগ্ন হতে পারে কলকাতার একাধিক অঞ্চল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উড়িষ্যা ও বঙ্গীয় উপকূলে অতি শক্তিশালী ঝড়ের দাপট চলছে। গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টা ১৫৫ কিলোমিটার। আরও ৯ ঘণ্টা চলবে এই পরিস্থিতি। তবে এটি ধীরে ধীরে উড়িষ্যার বালেশ্বর থেকে আরও উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাচ্ছে। ৯ ঘণ্টা পর এটি শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ততক্ষণ ধ্বংসলীলা চালাবে ঘূর্ণিঝড়।
এপ্রসঙ্গে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উড়িষ্যার বুকে ‘যশ’ আছড়ে পড়ার সময় কলকাতায় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। রাজ্যের মধ্যে দীঘায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ, ৮৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ধীরে ধীরে কমবে হাওয়ার গতিবেগ। তবে বুধবার দিনভর এবং বৃহস্পতিবারও উপকূল এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় উপত্যকায়। তবে পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবারও এই এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হবে।
পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ তারিখও বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের জেলা-সহ উত্তরের মালদা, মুর্শিদাবাদেও। তবে কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফুঁসছে সমুদ্র এবং নদী। উপরন্তু সন্ধেয় ভরা কোটাল রয়েছে। যার জেরে বানভাসি হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। আগামীকালও বান আসার কথা রয়েছে। ফলে প্লাবিত হতে পারে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা।