একা ঘূর্ণিঝড়ে রক্ষে নেই, গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো সামিল ভরা কোটাল, চন্দ্রগ্রহণ আর ভারী বর্ষণ। আর এর জেরেই ফুঁসে উঠল রূপনারায়ণ। কারোর বয়স ৬২ বছর, তো কারোর বয়স ৫৫। কিন্তু রূপনারায়ণের এমন ভয়াবহ চেহারা তাঁরা আগে কোনও দিন দেখেননি। এভাবে নদীর জল শহরে উঠে আসবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বাসিন্দাদের অনেকেই। কিন্তু বুধবার সেই ছবিই দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন রূপনারায়ণের জল উঠে আসে তমলুক শহরের একাংশে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদখোয়া এলাকায় নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। একের পর এক বাড়িতেও হু হু করে ঢুকতে শুরু করে নদীর ঘোলা জল।
মূল রাস্তা টপকে নদীর জল জনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। একের পর এক বাড়ির ভেতর জল ঢুকতে শুরু করে। এদিকে এই অবস্থার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না বাসিন্দাদের একাংশ। জল ঢুকতে শুরু করায় তাঁরা বাড়ির জিনিসপত্র বের করে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। জলের তোড়ে একাধিক ট্রাকের অংশও ডুবে যায়।শেষে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় উঠে আসেন দুর্গত মানুষ। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। যদিও, কাঁচা বাড়িগুলিকে দ্রুত খালি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কোথাও যাতে জলের তোড়ে কাঁচা বাড়ি ভেঙে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি পরিস্থিতি এই জায়গায় চলে যাবে ভাবতে পারিনি। প্রায় ৬০ বছর বয়স হয়ে গেল, এই ভয়াবহ ছবি কোনও দিন দেখিনি। জল আরও বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।