একা ঘূর্ণিঝড়ে রক্ষে নেই, দোসর ভরা কোটাল আর চন্দ্রগ্রহণ! হ্যাঁ, শুধু যশ নয়, এই ত্র্যহস্পর্শেই আজ, বুধবার ভাসতে পারে কলকাতা। গঙ্গায় ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় তিলোত্তমা জলমগ্ন হওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় টর্নেডোর আশঙ্কায় দুপুর পর্যন্ত শহরবাসীদের বাড়ি না বেরোনোর অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বুধবার নির্ধারিত সময়েই আগে উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে আছড়ে পড়েছে ঘুর্ণিঝড় যশ। তার প্রভাবে বিপর্যস্ত বাংলার উপকূলবর্তী এলাকবর্তী এলাকা। দীঘার সমুদ্র প্রবল জলোচ্ছ্বাস, ফুঁসছে সুন্দরবনের একাধিক নদী। গোসাবার পাখিরালয়ে বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। পরিস্থিতি ভয়াবহ কুলতলিতেও।
গতকাল রাতভর নবান্নে কন্ট্রোলরুমে বসে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যশ আছড়ে পড়ার পর সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের ফলে রাজ্যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টা এলাকায় জলের তোড়ে গ্রামে জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, কলকাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, এদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলকাতা ও শহরতলির এলাকায় স্থানীয়ভাবে টর্নেডো হতে পারে! সে কারণে শহরবাসী ওই সময়ে বাড়ির বাইরে না বেরনোর অনুরোধ করেছেন তিনি।