সোমবার ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ডাকা প্রস্তুতি বৈঠকে হাজিরই হলেন না বঙ্গ বিজেপির অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভার্চুয়াল ওই বৈঠক ডেকেছিলেন নাড্ডা। সেখানে হাতেগোনা বঙ্গ বিজেপির কয়েকজন এমপি ও বিধায়ক হাজির ছিলেন। যদিও অনুপস্থিতররা জানিয়েছেন, বৈঠকের ব্যাপারে সময়মতো খবর না পাওয়া এবং নিজেদের কেন্দ্রে যশ মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকার জন্য বৈঠকে হাজির হতে পারেননি। এদিনের বৈঠকে ঝড় আছড়ে পড়ার আগে ও পরে উদ্ধারকাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিজেপি সভাপতি।
প্রসঙ্গত, কোভিড সমস্যার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই তৎপর রাজ্য সরকার। কন্ট্রোলরুমে ব্যস্ত প্রশাসন। দুর্যোগের মধ্যেই ‘দুয়ারে পানীয় জল’-এর ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। শাসকদলের মন্ত্রী-বিধায়করাও ‘যশ’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুরোদমে। দলের কর্মী-সমর্থকদের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তর ও প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছে, তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে দলের সব কর্মী, অনুরাগী ও স্বেচ্ছাসেবকদের। প্রশাসন ও নির্বাচিত সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগের আগেই মানুষকে খাদ্য, পানীয় জল ও মূল্যবান নথিপত্র সহ নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করার কাজে জরুরি ভিত্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সবাইকে। কোভিড পরিস্থিতিতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করতে হবে।