বঙ্গোপসাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় যশ ক্রমশ ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। আজ সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। বৃষ্টি সেভাবে না হলেও দেখা মেলেনি রোদের। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সকালেই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। বুধবারেই বাংলার বুকে আছড়ে পড়ার কথা অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের। আর সেই সাইক্লোনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এইসময় কোভিড রোগীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেদিকে নজরে রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোদমে প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতালগুলিও।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পিডব্লুডি, সিইএসসি ও পিএইচই-এর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থা করা হয়েছে জেনারেটরের। এর পাশাপাশি মজুত করা হয়েছে তিনদিনের অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল চত্বর, কোভিড ওয়ার্ড চত্বর, ফার্মাসিতে জমা জলের সমস্যা মোকাবিলায় থাকছে পাম্প।
রাজ্যের প্রথম কোভিড হাসপাতাল এমআর বাঙুরে ২টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার মজুত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ডিজি জেনারেটরের জন্য ডিজেল মজুত করা হয়েছে। অক্সিজেনের গাড়ি ঢুকতে যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় সে কারণে পুলিশের সঙ্গে গাড়ির রুটম্যাপ শেয়ার করবে হাসপাতাল। ঝড়ের কারণে গাছ পড়ে কিংবা জমা জলে যাতে অক্সিজেনের গাড়ি না আটকে পড়ে সেদিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে হাসপাতালেই থাকবেন পিডব্লুডি সিভিল ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের কর্মীরা। এমনকি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে কর্তৃপক্ষ।