গত এপ্রিলেই পশুখাদ্য মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে স্বস্তি দিয়ে ‘দুমকা ট্রেজারি’ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। এবার ডিএলএফ ঘুষকাণ্ড থেকে রেহাই পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব৷ ২০১৮ সালে থেকে নয়াদিল্লীর জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। কিন্তু সূত্রের খবর, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবের জেরে শেষমেশ লালুকে ক্লিনচিট দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, তিন বছরেরও বেশি জেল খেটে আরজেডি সুপ্রিমো গত এপ্রিল মাসে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ডিএলএফ মামলা তাঁর গলার কাঁটা হয়েছিল। ঘটনার সূত্রপাত ২০০৭ সালে৷ শেল সংস্থা এবি এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড দেশের অন্যতম বৃহৎ আবাসন নির্মাতা সংস্থা ডিএলএফের আর্থিক সাহায্য নিয়ে দক্ষিণ দিল্লীতে একটি জমি কেনে। সূত্রের খবর, সেই সময় ওই সম্পত্তির মোট মূল্য ছিল ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু তারা প্রায় জলের দরে, মাত্র ৫ কোটি টাকায় তা কিনে ফেলে।
অভিযোগ, এরপর আসরে নামে ডিএলএফ গ্রুপ। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জমি লিজ নেওয়ার প্রকল্প এবং নয়া দিল্লী রেলওয়ে স্টেশনের একটি আপগ্রেডেশন প্রোজেক্ট নিজেদের হাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তারা দক্ষিণ দিল্লীর ওই ৫ কোটির সম্পত্তি ঘুষ বাবদ লালুকে দিতে চায়। ২০১১ সালে মাত্র ৪ লক্ষ টাকায় লালুর ছেলে তেজস্বী যাদব এবং তাঁর অন্য দুই পরিবারের সদস্য রাগিণী যাদব ও চন্দ্রা যদব মিলে এবি এক্সপোর্টস লিমিটেড শেয়ারে কিনে ফেলেন। ফলে দক্ষিণ দিল্লীর ওই প্লট সহজেই তাদের হাতে চলে আসে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যে সিবিআই গোটা কাণ্ডে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় প্রবীণ জৈন এবং অমিত কাটয়াল নামে দুই ব্যক্তির খোঁজ পায়৷ তারা ডিএলএফ ও লালুর মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে খবর। কিন্তু দু’বছর ধরে তদন্ত চালানোর পর আপাতত হাত গুটিয়ে নিল সিবিআই। অভিযোগের ভিত্তিতে আর কোনও মামলা দায়ের করা হবে না বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।