নারদ কাণ্ডে মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ। ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের দেখানো পথেই হাঁটলেন দাঁতনের আরও দুই বিজেপি নেতা। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইস্তফা দিলেন তাঁরা। দলের জেলা সভাপতির কাছে শুক্রবার বিজেপির দাঁতন এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিত মল্লিক ও কিষাণ মোর্চার সভাপতি বিকাশ দাস ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, একই কারণে শুক্রবার কোচবিহারেও বিজেপির অভ্যন্তরে ফাটল ধরে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর দলের নেতাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে জানিয়েছেন বিজেপির দাঁতন এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিত মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে দলের মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে কিষাণ মোর্চার মণ্ডল সভাপতি বিকাশ দাস দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে এই অতিমারির সময়ে যেভাবে নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্ৰেফতার করা হয়েছে সেই নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দলের নেতাদের অসহযোগিতার বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন।
এই অবস্থায় দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান বলেন, ‘এই দুজনের এলাকায় কোনও ভূমিকা নেই। ভেবেছিল দল ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু সেই আশাপূরণ না হওয়ায় এঁরা হতাশা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে দাঁতন এক নম্বর ব্লকে দল যথেষ্ট শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে’। দলত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অভ্যন্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।