নারদ মামলায় সোমবার সাতসকালে আচমকাই তাঁদের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আজ, হাইকোর্টের রায়ের পর অবশেষে হেফাজত থেকে রেহাই পেয়েছেন নারদ কাণ্ডে ধৃত ৪ হেভিওয়েট। তাঁদের গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধৃতদের মধ্যে তিনজনই রয়েছেন হাসপাতালে। কবে তাঁরা হাসপাতাল থেকে ফিরবেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কারণ, আশঙ্কাজনক মদন মিত্র। তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে বলেই খবর। জানা যাচ্ছে, কোভিড মুক্ত হলেও তাঁর ফুসফুসে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ফলে এখনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সিরোসিস অফ লিভার ধরা পড়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রয়েছে হাইপার টেনশন।
প্রসঙ্গত, সোমবার নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে। দিনভর চলে টানাপোড়েন। ওইদিনই আলাদতে পেশ করা হয় তাঁদের। প্রথমে জামিন মিললেও তাতে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। ফলে ধৃত ৪ নেতাকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁদের নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ভর্তি করা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডে। হাসপাতালের তরফে আগেই জানানো হয়, অক্সিজেন থেরাপি চলছে মদন মিত্রের। সি-প্যাপও ও চলছিল। শুক্রবার সকালেও সি-প্যাপ চলে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। কোভিড পরবর্তী সমস্যা রয়েছে তাঁর। ফুসফুসে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, পঞ্চম দফা ভোটের দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র। শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় পরবর্তীতে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কোভিড পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। অন্যদিকে, আবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাইপার টেনশনের সমস্যা রয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিন আগে থেকেই সিওপিডির সমস্যা ছিল। শুক্রবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সিরোসিস অফ লিভার রয়েছে তাঁর। ফলে তিনি কতদিনে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, তা এখনও জানা যায়নি।