বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল সরকার, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করা হয়েছে, তখনই প্রায় পাঁচ বছরের পুরনো নারদকাণ্ডে অতিসক্রিয় হয়ে সোমবার রাজ্যের ২ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।যার মধ্যে তিন জনের ঠিকানা এখন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড। আর একজন আছেন জেল হাসপাতালে। এই গোটা ঘটনাপ্রবাহটিকেই বাংলার মানুষ বাঁকা চোখে দেখছে। কারণ করোনার ভয়াবহতাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেভাবে সিবিআই আদাজল খেয়ে ঝাঁপিয়েছে নারদ-মামলার ‘হেস্তনেস্ত’ করতে, তা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। আবার উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে লোকসভার স্পিকার অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআইকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এসব দেখেই এখন রাজ্য বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘হিসেবে ভুল হয়েছে’।
ইতিমধ্যেই নারদ তদন্তে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী চার্জশিটের ঠিক কোন পংক্তিতে, কী অবস্থায় আছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবার রাজ্য বিজেপির অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে অন্য চিন্তাও। দলের নীচু তলার কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছেন তাঁরা। সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপের ফলে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হতে হবে এই ভয়ে জেলায় জেলায় বহু দলীয় কার্যালয় বন্ধ। এমনকী, ভোটে যেখানে বিজেপি প্রার্থী জিতেছেন, সেই সব জায়গাতেও ছবিটা ব্যতিক্রমী নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ নেতাই বলতে শুরু করেছেন, সময়টা বাছা ভুল হয়েছে। আর ২০১৬ এবং ২০২১ দু’টো বিধানসভা ভোটেই নারদ ইস্যু দিয়ে কিছু হল না। এখন আর কী হবে। কেউ কেউ এ-ও বলেছেন, তাদেরকে মিডিয়া ফেস করতে হচ্ছে। মুকুল, শুভেন্দু কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। যা হওয়ার হয়েছে। এখন ওরা জামিন পেয়ে গেলেই ভাল।