বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠকে ববি হাকিম কাজ করতে পারছেন না বলে আক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে তিনি যে ফিরহাদ হাকিমের অভাব বোধ করছেন সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর তারপরই নবান্ন থেকে ফেরার পথে আচমকা তিনি নিজেই পৌঁছে গেলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা পুরপ্রশাসক ববি হাকিমের বাড়িতে। মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর নিজাম প্যালেসে ছুটেছিলেন তিনি নিজে। এবার ফিরহাদের বাড়িতে গিয়ে তিনি বলে এলেন, “ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার।”
আজ নবান্ন থেকে ফেরার পথে চেতলায় ববি হাকিমের বাড়িতে যান তিনি। যদিও সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না তাঁর স্ত্রী। জেলে ববির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাই ববির মেয়ের সঙ্গেই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীর মেয়ে সাব্বা হাকিমের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “তোমরা মন খারাপ করবে না। এটা রাজনৈতিক লড়াই। মনে জোর রাখো, ববি হাকিম জামিন পাবে।”
এদিন পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মমতা জানান, “ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার। ববি আমার দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। ওকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। ও কলকাতা পুরসভায় না থাকায় কলকাতায় কোভিড মোকাবিলায় সমস্যা হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওকে আটকে রাখা হয়েছে।” পরিবারের সবাই যাতে সুস্থ থাকেন, খাওয়া দাওয়া করেন, সে কথাও বলে এসেছেন মমতা। মন্ত্রীর মেয়েরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে, মিনিট ১৫ সেখানে থেকে কথাবার্তা বলেন মমতা।
উল্লেখ্য, সোমবার গ্রেফতার হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালেই ফিরহাদের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের জ্বর এসেছে। সে দিন রাতে জেল সূত্রে জানা যায়, মারাত্মক জ্বর এসেছে ফিরহাদের। তাপমাত্রা প্রায় ১০২ এর কাছাকাছি, সঙ্গে ছিল পেটে যন্ত্রণা। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাসপাতালে যেতে চাননি ফিরহাদ। তবে আজ তিনি অনেকটাই ভালো আছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কোলাইটিসে ভুগছেন ফিরহাদ।