সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করেছিলেন ঋত্বিক। লিখেছিলেন “এটা কি অপমান? উনি কি অপমানিত?” ঋত্বিকের এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে একহাত নিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। অভিনেতার সেই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একজন লিখেছেন, “এই রকম একজন প্রধানমন্ত্রী আর সর্বোপরি এই রকম এক পার্টির ক্যাডার রাজ্যপাল বাংলা প্রথম প্রত্যক্ষ করল। আমরা দুর্ভাগা তাই ক্রমাগত এই সব মানুষকে দেখেই চলেছি। আবার অবশ্য ভবিষ্যতের ইতিহাসেরও সাক্ষী হয়ে রইলাম।”
আরেকজন আবার লিখেছেন, “একটা রাজ্যের লজ্জা! পদ্মপাল অপমানিত হওয়ার সীমা পার করে গেছেন।” আরও এমন মন্তব্য করা হয়েছে। যার মধ্যে একটিতে লেখা হয়েছে, “উনি অপমানিত কিনা জানিনা, তবে উনি যে গণতন্ত্রের অপমান সেটা সবার কাছে পরিষ্কার।” এমনই প্রতিক্রিয়াতে ভরে গিয়েছে ঋত্বিকের কমেন্টবক্স। দু’শোরও বেশি মানুষ শেয়ার করেছেন পোস্টটি।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই কার্যত সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন জগদীপ ধনকর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দিনও নজিরবিহীনভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন ধনকড়। মন্ত্রীদের শপথের দিনও তাই করেছেন তিনি। এমনকী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রদের গ্রেফতারির ক্ষেত্রেও বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। তার বদলে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েছিল সিবিআই। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল পদে জগদীপ ধনকরের অপসারণ চেয়ে এবার সরাসরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।