নারদা মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) হাতে গ্রেফতার হওয়া নেতা-মন্ত্রীদের শুনানি। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই শুনানি ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মত নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়ালি চার্জশিট পেশ করা হয়। চারজনকেই হেফাজতে রাখার আবেদন জানাল সিবিআই। কিন্তু বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় তাতে প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে ইতিমধ্যেই চার্জশিট প্রস্তুত সেখানে এই নেতা মন্ত্রীদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা কোথায়?’
উল্লেখ্য, সোমবার নিজাম প্যালেসে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির পর সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছন নিজাম প্যালেসে। তারপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন। অন্যদিকে একইসঙ্গে সিবিআই দফতরের বাইরে জমা হতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। শুরু হয় চূড়ান্ত বিক্ষোভ। এর মধ্যেই আদালত সূত্রে জানা যায়, শুনানি হবে ভার্চুয়ালি। কোভিড পরিস্থিতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যে যখন করোনা মোকাবিলায় কার্যত লকডাউন চলছে, তখন নারদ মামলায় নয়া মোড়। সোমবার একদম সকাল সকালই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তৃণমূলের বিধায়ক এবং বর্তমানে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি এসে হাজির হয় বিরাট সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল ন’টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নারদ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করা হল। সিবিআই গ্রেফতার করল। আদালতে মোকাবিলা হবে।’ অন্যদিকে সোমবার সকালেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। পরে তাঁদের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসে। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের থেকে অনুমতি নিয়েই এই পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। এই গ্রেফতারিকে অসংবিধানিক বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা।