দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। রূপ বদলে এখন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই মারণ ভাইরাস। এর জেরে একদিকে যখন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিল৷ তখন করোনার সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র অস্ত্র টিকার জন্য হাহাকার চলছে। একাধিক রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকার জোগান নেই। খাস রাজধানীতেও টিকা নেই। দিল্লীর উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, তাদের হাতে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, তাতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের বড়জোর আর ৩ দিন করোনা টিকা দেওয়া যাবে। তার বেশি নয়। উপ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র জানিয়েছে তারা আর করোনা টিকা এ মাসে দিতে পারবে না। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, তরুণদের জন্য কোভ্যাক্সিন ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
১৩ মে দিল্লী জানিয়েছিল, হাতে যা টিকা আছে তা বয়স্কদের লাগবে। তাই কেন্দ্রের কাছে টিকা আবেদন করেছিল কেজরীওয়ালের সরকার। তার উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, দিল্লী ৪৫ ঊর্ধ্বদের জন্য ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ভ্যাকসিন পাবে। কিন্তু ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের জন্য এখনই ভ্যাকসিন পাবে না। উপ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ফের কেন্দ্রকে চিঠি লিখে টিকা প্রার্থনা করেছেন। এর সঙ্গে দুই সংস্থা, সেরাম ও ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন বরাদ্দ করার তথ্য জনসমক্ষে আনার আবেদন করেছেন তিনি। সিসোদিয়া বলেন, ‘আমাদের জানা উচিত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী কত মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন, আর ৪৫ ঊর্ধ্ব কতজন ভ্যাকসিন পেয়েছেন।’ উল্লেখ্য ভারতে এ পর্যন্ত মোট করোনা টিকা পেয়েছেন ১৮ কোটি ২৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে রাজধানীতে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ।