করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে আলিপুরদুয়ারে। পাশাপাশি প্রতিষেধক নিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ। জেলাবাসীর একাংশের আরও নালিশ, গেরুয়াশিবিরের ‘ডবল ইঞ্জিন’ আলিপুরদুয়ারে প্রতিষেধকের জোগানের উদ্যোগ তো দূরের কথা, বিজেপি সাংসদ জন বার্লার খোঁজই নেই। মানুষের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে না দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদেরও। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবেতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। গত লোকসভা নির্বাচনেও চা বলয় অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ারে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জয় পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির জন বার্লা। বিজেপির এক জেলা নেতার বক্তব্য ছিল, “রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও আলিপুরদুয়ারকে কিন্তু আমরা ডবল ইঞ্জিন করতে পেরেছি।”
সেই আলিপুরদুয়ারেই গত কিছুদিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিযোগ, প্রতিষেধেকের একটি ডোজ পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অথচ, এমন পরিস্থিতিতে সাংসদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকে। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার থাকা সত্বেও সাংসদ কেন জেলায় আরও বেশি পরিমাণে প্রতিষেধক আনতে তৎপরতা দেখাচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সেইসঙ্গে জেলার নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদেরও মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর অভিযোগ, “যে করেই হোক ক্ষমতা দখল করে মানুষকে ভুলে যাওয়াই তো বিজেপির চরিত্র। বিজেপি যে কখনওই মানুষের কথা ভাবে না, ফের প্রমাণিত হল।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “সাংসদের খোঁজ পেতে আমরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার কথা ভাবছি।”