ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যু মিছিলও। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বন্ধু দেশকে রেমডেসিভির ইনজেকশনের ১০ হাজার ‘ভায়াল’ উপহার হিসেবে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে ভারতের জনগণের জন্য সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশের ওষুধ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর প্রথম চালান এটি। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান গতকাল ভারত সীমান্তের পেট্রাপোলে ভারত সরকারের প্রতিনিধির কাছে ১০ হাজার ‘ভায়াল’ রেমডেসিভির ইনজেকশন হস্তান্তর করেন।
এই ইনজেকশনগুলি তৈরি করেছে বাংলাদেশি শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ভারতের করোনা আক্রান্ত জনগণের জন্য চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ইনজেকশনগুলি পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে গত মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় উপহার হিসেবে করোনা ভাইরাসের এক লক্ষ ডোজ টিকা নিয়ে এসেছিলেন। তারও আগে মার্চে ১২ লক্ষ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এছাড়া, প্রথম চালানে ভারত থেকে উপহার হিসেবে এসেছিল ২০ লক্ষ ডোজ টিকা। উপহারের ৩৩ লক্ষ ডোজ টিকার পাশাপাশি বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ৭০ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী গতকাল এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আকাশপথে, সাগরপথে এবং এখন জলপথে। জরুরি ওষুধের একটি চালান পেট্রাপোলে স্থলসীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। আমাদের প্রতিবেশী ও কাছের বন্ধু বাংলাদেশকে এই সৌজন্য ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। এটি আমাদের অনন্য সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’