অবিরাম বাক্যবাণ, বাকযুদ্ধ সরগরম ছিল একুশের বিধানসভা ভোট। প্রচারের মাইক হাতে পেয়ে সুর চড়িয়েছিলেন অনেকেই। ব্যতিক্রম ছিলেন না বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও।” সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বিজেপি নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে”, প্ল্যাকার্ড হাতে এই দাবিতে এবার মানিকতলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। থানায় করা হয়েছে লিখিত অভিযোগও।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।” পরে আবার শীতলকুচির ঘটনায় নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করে বলেছিলেন, “ওখানে (শীতলকুচিতে) যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রণাম জানাই। কিন্তু কেন এই সব উস্কানি দিয়ে চার জন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল?”
শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষও। “বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” বরানগরের সভায় দাঁড়িয়ে এমন কথা বলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর এমন মন্তব্যে সেই সময় বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সেই সমস্ত মন্তব্যের বিরুদ্ধেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকতলা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। থানার বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এদিকে এদিনই ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ভোটের ফলপ্রকাশের পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন রাজ্যের মোট ১৬ জন। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।