এবার বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে আদাজল খেয়ে লেগেছিল গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু ২ মে’র ফলাফল বলে দিল, একুশের মহারণে তৃণমূল শুধু জয়ীই নয়, একেবারে গো-হারা হেরেছে বিজেপি। ডাহা ফেল করেছে মোদী-শাহের নির্বাচনী রণকৌশল।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটকে পাখির চোখকে রাজ্যে প্রায় ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় মোট ১৮টি নির্বাচনী সভা করেছেন তিনি। পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমেও বেশ কিছু বক্তৃতা রেখেছেন মোদী। আর শুধু মোদী নন, বাংলার প্রচারে সময় দিয়েছিলেন অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এমনকি যোগী আদিত্যনাথও। তবে বিজেপি বরাবরই বড়াই করে থাকে মোদী ম্যাজিকের। গেরুয়া প্রচারে ঝড় উঠেছিল যেসব কেন্দ্রে, আদতে কেমন হল তাদের ফলাফল? ম্যাজিক কি দেখা গেল?
বলা বাহুল্য, ২ মে-র ফলাফলে কাজে লাগেনি কোনও ম্যাজিক। হাতে রয়েছে শুধু নন্দীগ্রাম আর হলদিয়া। ৭ ফেব্রুয়ারি এই হলদিয়াতেই প্রথম নির্বাচনী জনসভাটি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি প্রার্থী তাপসী মন্ডল সেখানে জিতেছেন ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪৮৯ ভোটে। কাঁথিতে সভা ছিল ২৪ মার্চ। কাঁথি উত্তর বা দক্ষিণে জয় আসেনি। এর আগে হুগলিতেও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন মোদী। ২২ ফেব্রুয়ারির সেই সভা বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি জনমনে। লকেট হেরেছেন প্রায় ১৮ হাজার ভোটে। হুগলিতে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।
১৮ মার্চ পুরুলিয়া আর ২১ মার্চ বাঁকুড়ায় সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই এলাকাতেই বিজেপির পরাজয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভায় এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে রীতিমতো পিছনে ফেলে দিয়েছিল গেরুয়া দল। এছাড়া মার্চের ৭ তারিখ কলকাতায় ছিল বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ। সেখানেও হাজির ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে কলকাতাতেও একেবারেই আশানুরূপ হয়নি গেরুয়া শিবিরের ফলাফল। ১ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে। সভা করেছিলেন হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও ডুমুরজলাতেও। তবে সব জায়গাতেই পরাজিত হয়েছেন গেরুয়া প্রার্থীরা।