বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা-মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে পা রেখেছিলেন টলিউডের একঝাঁক তারকা। এরপর নির্বাচনী লড়াইয়ে দাঁড়ানোর টিকিটও পেয়ে গিয়েছিলেন। ভোটের কয়েকমাস আগে থেকে রাজ্য-রাজনীতিতে যেই দলবদলের হাওয়া বইছিল, সেই প্রেক্ষাপটে গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির এই তারকারাই মমতার একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে উঠেছিলেন।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরদিন থেকেই রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়া, অদিতি মুন্সীদের আদা-জল খেয়ে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। কেউ বা পদ্মের শক্ত ঘাঁটিতে লড়েছেন, আবার কাউকে বা দেখা গিয়েছে দলবদলুদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে। তবে নজর ছিল ২মে জনতার রায়ের দিকে। সেই নির্বাচনী মার্কসিটেই কারা সসম্মানে উতরে গেলেন, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী পুলককান্তি গুড়িয়া। অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চা বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের তরফে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোট লড়েছেন সিপিএমের আশিস গুছাইত। তবে সোহম কিন্তু রাজনীতির ময়দানে নতুন নন। বরং যেইসময় তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল না, তখন থেকেই দিদির সঙ্গী এই তরুণ অভিনেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে হারের মুখ দেখার পরেও এবছর দিদি ভরসা রেখেছিলেন তৃণমূলের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সোহমের উপর। আর সেই ভরসা বিফলে যায়নি। মা-মাটি-মানুষ মন্ত্রকে হাতিয়ার করে চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন সোহম।
অন্যদিকে, ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে গিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল, যিনি কিনা একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে রাজীব-শুভেন্দুদের সঙ্গে দিল্লীতে উড়ে গিয়ে গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন। বিজেপির তরফেও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তরপাড়াবাসী মেনে নিতে পারেনি দলবদলু প্রবীরকে। অতঃপর আস্থা রেখেছেন, নবাগত কাঞ্চনের উপরই।
অন্যদিকে, দিলীপ-গড় মেদিনীপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের তারকাপ্রার্থী জুন মালিয়া। বারাসতে এবারও জিতে হ্যাটট্রিক করলেন তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিমি ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে পরাস্ত করেছেন বিজেপি প্রার্থীকে। অন্যদিকে, এবছর সদ্য রাজনীতির ময়দানে পা রেখেও রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দিদির ভরসা রেখেছেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সি।