করোনা পরিস্থিতি জটিল হতেই আদালতের কাছে ভর্ৎসনার শিকার হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলত কিছুটা বাধ্য হয়েই তারা গণনার দিন করোনা সতর্কতা বিধি নিয়ে নতুন নিয়ম লাগু করে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, “গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে প্রার্থীকে দেখাতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট। ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের অধিকার থাকবে। তবে টেস্টের রিপোর্ট না থাকলে অন্তত পক্ষে গণনার ৪৮ ঘণ্টা আগে দুটি কোভিড প্রতিষেধক নেওয়া হয়েছে, সেই শংসাপত্র দেখালেও ভিতরে ঢোকার অনুমতি পাবেন প্রার্থীরা।”
শুধুই প্রার্থী নয়, এই একই নিয়ম লাগু হয়েছে প্রার্থীর এজেন্টদের ক্ষেত্রেও। গণনার ৭২ ঘণ্টা আগে গণনাকেন্দ্রের এজেন্টদের নামের তালিকা কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে প্রার্থীদের। কাউন্টিং এজেন্টদের মধ্যে একজনের পিপিই কিট পরা বাধ্যতামূলক। কাউন্টিং হলের জানালা খোলা রাখতে হবে। ইভিএমকে স্যানিটাইজ করতে হবে, এমনকি থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থাও থাকছে। করোনার উপসর্গ থাকলে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা কর্মীদের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নিয়ম থাকলেও করোনা বিধির বাইরেই থাকছেন কমিশনের বাহিনী ও অফিসাররা। কিন্তু কেন এই দ্বিচারিতা? এই অভিযোগ নিয়ে এদিন নির্বাচন কমিশনের সিইও অফিসে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাংসদ সৌগত রায়ের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, “পোলিং অফিসারদের জন্য এই ধরণের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।” এই দ্বিচারিতা না করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানায় তৃণমূলের এই আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।