ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন নজির গড়েছে ভারত। পাশাপাশি অক্সিজেন ও পর্যাপ্ত বেডের অভাবে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগের দাবি করা ‘রিজাইনমোদী’ হ্যাশট্যাগটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছিল। কারণ দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ওই হ্যাশট্যাগে টুইট করে টুইটার ভরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই ওই হ্যাশট্যাগকে ব্লক করে দেয় ফেসবুক। বুধবার ফেসবুকের ওই পদক্ষেপের পরে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। অবশেষে সেই ব্লক তুলে নিয়ে ফেসবুক সাফাই দিল, কেন্দ্রের নির্দেশে তারা এমনটা করেনি। পুরো ব্যাপারটাই ‘ভুলবশত’ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে মহারাষ্ট্র, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশের মতো বহু রাজ্যে মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। শ্মশানে চিতা জ্বালানোর জায়গা না পেয়ে শ্মশানের বাইরে অস্থায়ী শ্মশানে পুড়ছে করোনা রোগীর চিতা। হাসপাতালের বেড থেকে অক্সিজেন সরবরাহ সবেতেই ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী ভোটের জন্য জনসভা করছেন কী করে, এমন অভিযোগ জানাতে থাকে বিরোধীরা। হ্যাশট্যাগ ‘রিজাইনমোদী’ ব্যবহার করে টুইটার, ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন রাজনৈতিক নেতারা। তাতে যোগ দেন সাধারণ নেটিজেনরাও। দ্রুত ওই হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হয়ে যায়। কিন্তু বুধবার আচমকাই দেখা যায় ওই হ্যাশট্যাগকে ব্লক করে দিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থা। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েই শেষ পর্যন্ত ব্লক তুলে নিতে বাধ্য হল ফেসবুক। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ‘আমরা ভুলবশত সাময়িক ভাবে ব্লক করেছিলাম হ্যাশট্যাগটি। এবং সেটা ভারত সরকারের কোনও নির্দেশের কারণে নয়। অবশেষে সেই ব্লক তুলেও নেওয়া হয়েছে।’