খেলোয়াড়দের খেলতে গিয়ে চোট লাগলে দ্রুত ব্যথা উপশমের জন্য বরফ দেওয়া দীর্ঘদিনের অভ্যাস ক্রীড়াবিদদের। সে তিনি পেশাদার ক্রীড়াবিদ হোন বা অপেশাদার, সাধারণত বরফ ব্যবহার করেই ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন সকলে। বরফের সেঁক দ্রুত চোট কমানোর জন্য পরীক্ষিত টোটকাও। কিন্তু সেই দিন আর নয়। কেন? কারণ বরফের সেঁক ভা আইসপ্যাক দিলে চোট সারা তো দূরস্থান, উল্টে তা বিপজ্জনক হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
গত মার্চে ‘জার্নাল অব অ্যাপ্লায়েড ফিজিওলজি’-তে জাপানের কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, চোট পাওয়া পেশিতে বরফ লাগালে তার আণবিক গঠন এমন ভাবে বদলে যায় যে, আখেরে তা ক্ষতি করে। এই গবেষণা ৪০টি ইঁদুরের ওপর করা হয়েছে। সেই গবেষকদের বক্তব্য, মানুষের মতো ইঁদুরের পেশিও তন্তু বা ফাইবার দিয়ে তৈরি। তাই গবেষণার ফল মানুষের ক্ষেত্রেও একই হবে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা ভাইচুং ভুটিয়ার মতো শীর্ষ স্তরের ক্রীড়াবিদ থেকে শুরু করে শখের গল্ফার- সকলেই চোট লাগলে সেখানে বরফ দেওয়াকেই অমোঘ উপশম বলে মনে করতেন। কিন্তু জাপানের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দেখাচ্ছে, সেই ধারনা সঠিক নয়। যার ফলে এতদিন ধরে লালিত চোট কমানোর জনপ্রিয় প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে। প্রশ্ন উঠেছে চোট কমানোর সময় নিয়ে। গবেষণার নির্যাস বলছে- চোটের জায়গায় আইসপ্যাক দিলে উল্টে চোট কমতে হতে দেরি হয়। কারণ, বরফের সেঁক দিলে চোটের জায়গায় নতুন কোষ তৈরি হতে অনেক বেশি সময় লাগে।
জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, তাহলে কি ক্রীড়াবিদদের আইসপ্যাক ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া উচিত? এই ব্যাপারে দেশের কোনও নামীদামী ক্রীড়াবিদই মুখ খোলেননি।