দেশের পাশাপাশি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হাসপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। এই পরিস্থিতিতেও বাজারে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের কালোবাজারি। মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষ অক্সিজেন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই সবদিক বিচার করে করোনা অতিমারীর মতো জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যসরকারের উদ্যোগে স্থাপন করা হবে ৫৫টি অক্সিজেন প্লান্ট । বিগত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় মহকুমা স্তর পর্যন্ত মোট ১০৫ টি সরকারি কোভিড হাসপাতালে পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ MGPS সুনিশ্চিত করা হবে।
এই পদ্ধতিতে রাজ্যের প্রায় ১২,৫০০ জন কোভিড আক্রান্তকে ২৪ ঘণ্টা ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও আগামী ১৫ মে ২০২১ এর মধ্যেই আরও ৪১ টি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরও ৩০০০ কোভিড রুগীকে সুচিকিৎসা দেওয়া যাবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা।
তাতে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থানগুলির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আরও বেশি করে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে হাসপাতালগুলি। সিদ্ধান্ত হয়েছে সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, সরকারি জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালগুলির অধ্যক্ষের এবার থেকে সিএমএস অনুমোদিত হলে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মানতে হবে অর্থ দফতরের নির্দেশ।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে সময় অত্যন্ত জরুরি। তাই কাল বিলম্ব না করে যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও এমএসভিপি-রা তার দিকেও নজর রাখা হবে। যাতে তাঁরা অর্থ দফতরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নির্দেশিকে মেনে নিজেদের হাসপাতালগুলিতে পাইপলাইনের সম্প্রসারণ ব্যবস্থা করতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে।