গোটা দেশে যখন করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে ৮ দফায় রাজ্যে ভোট অনুষ্ঠিত করিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত দু’মাসে রাজ্যের বাইরে থেকে একাধিক বিজেপি নেতা, কর্মীরা বাংলায় এসেছেন। জনসভা, পদযাত্রা করেছেন। যার ফলস্বরূপ লাটে উঠেছে সমস্ত কোভিডবিধি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিচারপতি বলেছিলেন, “কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা উচিৎ।” এবার সেই পথেই হাঁটলেন খড়দহের মৃত তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহা।
আজ বিকেলে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নন্দিতাদেবী। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। নন্দিতাদেবী নিজের অভিযোগপত্রে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য কমিশনকেই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, দেশজুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই বাংলায় আট দফা ভোটের আয়োজন করেছিল কমিশন। শেষ কয়েক দফা ভোট একসঙ্গে করার জন্য বারবার আবেদন করেছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি কমিশন। এর পর প্রচারে বেরিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কাজল সিনহার। সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য একমাত্র কমিশনই দায়ী।”
ষষ্ঠদফা ভোটের আগের দিন অর্থাৎ ২১ তারিখ সকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী। সেদিনই বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর টানা ৩দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। অবশেষে রবিবার সকাল পৌনে দশটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইতিপূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের দুই প্রার্থী। সেখানে আগামী ১৬মে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন।