করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে অক্সিজেনের আকাল। এই অবস্থায় আরও ৯৩টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিল মমতা সরকার। ইতিমধ্যেই ৫টি প্ল্যান্টের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এই প্ল্যান্টগুলি থেকে সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে পাইপলাইনের মাধ্যমে। তবে এই মুহূর্তে বাংলায় অক্সিজেনের সংকট নেই বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, সোমবার নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে করোনা মোকাবিলায় নবান্নে এসে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এই মুহূর্তে হাসপাতালের বেড-সহ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
এই মুহূর্তে বাংলায় প্রতিদিন ৪৯৭ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। এছাড়া ৩৮০ মেট্রিক টন বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। রাজ্যে প্রতিদিন অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে ২২৩ মেট্রিক টন। তাই অনেকটাই উদ্বৃত্ত থাকে। তবুও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। আগাম প্রস্তুতি হিসাবে আরও অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে মমতা সরকার। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখবে নবান্নের গঠিত টাস্ক ফোর্স।
এদিকে, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে, কোনও পরিবারের উপার্জন করে এমন সদস্যের করোনায় মৃত্যু হয়, বিশেষ করে মা অথবা বাবা, সেক্ষেত্রে পরিবারে ৬ বছর থেকে ১৪ বছরের কোনও সন্তান থাকলে তাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়িত্ব নিতে রাজি তারা। একইসঙ্গে, করোনা যুদ্ধে রাজ্যকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিল মিশন।