আজ সকালে রাজ্যে সপ্তম দফার ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই অশান্ত উত্তরবঙ্গের মালদহ জেলা। সেখানে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের চারটি যথা হবিবপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচোল ও রতুয়া থেকে দফায় দফায় ঝামেলার খবর আসছে। কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হচ্ছে এলাকা, কোথাও জোড়াফুল শিবিরের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এমনকি শাসক দলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
হবিবপুরের গিরিজা সুন্দরী হাইস্কুলের ২২০ নম্বর বুথে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের দাবি, এই ভাঙচুর চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, এলাকায় যতগুলি বুথ আছে সবকটিতেই তৃণমূল কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে বুথের ভিতর ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের দাবি, তৃণমূলের পক্ষে নাকি ভোট হচ্ছিল বুথে। কিন্তু এমন কিছু হয়নি বলেই জানিয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়।
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুরে ভোটারদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি বিজেপি কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করে ভোটদানে দিচ্ছে, যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের চাঁদমনি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিকলপুরে ১৭৩, ১৭৪ ও ১৭৫ নম্বর বুথে আবার অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১৭৫ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসার প্রদীপ দাসের বক্তব্য, ভোটারদের ভিড় বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া বুথ ঘিরে বহু মানুষের জমায়েতও হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগ, বারণ করা সত্ত্বেও তিনজন করে একসঙ্গে ঢুকে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।