আইপিএল লিগ টেবিল অনুযায়ী, লড়াইটা ছিল ফার্স্ট বয় বনাম সেকেন্ড বয়ের। ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা ছিল, একদম টানটান ম্যাচ দেখবেন তারা। কিন্তু সেই লড়াই যে এমন একপেশে হবে কেই বা জানত! আর এমনটা হল মূলত একজনের সৌজন্যে। তিনি ভারত তথা ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। বাইশ গজে ব্যাট হাতে নয়া রেকর্ড গড়লেন। পাশাপাশি বল হাতে উইকেটও তুললেন। আর ফিল্ডিংয়ে আরসিবির সেরা এবং অন্যতম প্রধান অস্ত্র ডি’ভিলিয়ার্সকে রান আউট করলেন। যার ফলস্বরূপ ৬৯ রানে জয় পেল সিএসকে।
ওয়াংখেড়েতে গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। ব্যাট করতে নেমে গায়কোয়াড় এবং ডু’প্লেসির যুগলবন্দীতে দুর্দান্ত শুরু করে চেন্নাই। ওপেনিং জুটিতেই উঠে যায় ৭৪ রান। গায়কোয়াড় ৩৩ রানে আউট হলেও হাফ সেঞ্চুরি করেন ডু’প্লেসি। তাঁর সংগ্রহ ৫০। ডু’প্লেসির উইকেটের পর খানিকটা খেই হারায় চেন্নাই। রায়না এবং রায়ডু রান পাননি সেভাবে। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ভাল শুরু করেও হয়তো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবেন না ধোনি বাহিনী। ঠিক তখনই উদয় হয় ‘স্যর’ জাদেজার।
নিজেদের ইনিংসের শেষ ওভারে টুর্নামেন্টের অন্যতম আবিষ্কার হর্ষল প্যাটেলের বলে তিনি তুলে নেন ৩৭ রান। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেলেন আইপিএলে ক্রিস গেইলের এক ওভারে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডও। হর্ষলের প্রথম চারটি বলেই ছয় মারেন জাদেজা। এর মধ্যে তৃতীয় বলটি হয় নো। ফলস্বরূপ পরের বলটি ছিল ফ্রি-হিট। তাতেও ছয় মারেন তিনি। এরপর অবশ্য পরের বলটিতে আর ছয় মারতে পারেননি জাড্ডু। পান মাত্র দু’রান। এরপর শেষ বলটি আবার অল্পের জন্য চার হয়ে যায়।জাড্ডুর শেষ ওভারের এই ঝড়েই ১৯১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে ফেলে চেন্নাই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও ৪৪ রানে অধিনায়ক বিরাট কোহলি আউট হতেই ভাঙন শুরু হয় আরসিবির ব্যাটিং অর্ডারে। এর আগে, অন্য বছরগুলিতে যেভাবে আরসিবির মিডল অর্ডারকে ব্যর্থ হতে দেখা গিয়েছে, গতকাল যেন তারই ঝলক দেখা গেল। বিনা উইকেটে ৪৩ রানে থেকে আরসিবি অল আউট হয়ে যায় মাত্র ১২২-৯ রানে। ব্যর্থ হন ওয়াশিংটন, ডি’ভিলিয়র্স, ক্রিশ্চিয়ানরা। এই ম্যাচে বল হাতেও কামাল দেখান জাদেজা। তিনটি উইকেট দখল করেন তিনি। ইমরান তাহির পান ২টি উইকেট। জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৪টি করে জয় পেল সিএসকে। একই পয়েন্ট আরসিবির-ও। তবে কোহলিদের থেকে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় আপাতত লিগ টেবিলের প্রথম স্থানেই থাকল ধোনি অ্যান্ড কোং।