করোনার ভয়াল দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, ঠিক তখন বাংলায় এসে নিয়মিত প্রচার করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে ভোটপর্ব ঘিরে সভা, সমাবেশ, রোডশো-র উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির সর্বোচ্চ তারকা ক্যাম্পেনার নরেন্দ্র মোদীর বাংলার ভোটে এই অবস্থাতেও প্রচার চালিয়ে যাওয়ায় দেশভর নেতাদের নিশানায় তিনি। টুইটে একের পর এক নেতা বিদ্ধ করছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
সীতারাম ইয়েচুরি তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘মোদীর কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার থেকে দলের হয়ে প্রচার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁর অগ্রাধিকারে রয়েছে নির্বাচনী প্রচার। বাকি সময়টায় তিনি টিভিতে মুখ দেখাতেই ব্যস্ত থাকেন। খুবই দুঃখের বিষয়’। সীতারাম তাঁর টুইটে আরও লিখেছেন, ‘ভারত য়ে গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাকে এক সেনাকর্তা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তাতে ভ্রূক্ষেপই নেই। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁকে পাচ্ছেন না। বড় বড় নির্বাচনী জনসভার পর নাম কা ওয়াস্তে মিটিংয়ের নামে চমক দিচ্ছেন’।
কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে টুইটে বিঁধলেন পি চিদাম্বরমও। করোনা ভাইরাসের মাথায় বসে প্রধানমন্ত্রী বেহালা বাজাচ্ছেন, এরকম একটা কার্টুন টুইট করেন তিনি। পাশাপাশি মোদীর ‘দিদি’ ডাকের কড়া সালোচনা করে লেখেন,‘কোনও প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে এরকম উপহাসের সুরে ডাকতে পারেন? আমি তো কল্পনাই করতে পারি না যে, জওহরলাল নেহরু, মোরারজি দেশাই বা বাজপেয়িজি এই ভাষায় কথা বলছেন’।
এর আগেও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁর একটি ছবি টুইট করেন। তাতে বোঝা য়ায় যে, প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে এত ব্যস্ত য়ে গোটা দেশ তাঁর করোনা বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে।
রবিবারের জনসভা থেকে কড়া ভাযায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে, জানান মমতা। বলেন, ‘গুজরাতে দেদার ভ্যাকসিন বিতরণ চলছে।’ কেন্দ্রকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।