আজ উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা বিধানসভায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সিএএ-এনআরসি নিয়ে বিজেপি শিবিরকে তীব্র করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নাগরিকত্ব নিয়ে অসত্য কথা বলছেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা। সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস করিয়ে এখন বলছে করোনার টিকা দেওয়া শেষ হলেই সিএএ হবে। আরে করোনার টিকা দান শেষ হবে কবে? ১৩০ কোটির দেশে এই কাজ এতো দ্রুত করা সম্ভব? তাই বলছি বিজেপি জিতলে আপনাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে। তাই আমি বাগদার মানুষকে বলছি তৃণমূলকে জেতাতে হবে। এটা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করা নয়। এই নির্বাচন আসলে আমাদের রাজ্য দিল্লী-গুজরাতের দখলে থাকবে, নাকি বাংলার নিজের মানুষের দখলে থাকবে তার লড়াই। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন না নৈরাজ্যের সঙ্গে থাকবেন।”
তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজ্য চালাতে চাইছে। আপনার জীবনকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। বহিরাগত নেতা না নিজের মেয়েকেই চান সেটা আপনাদের ঠিক করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন সেটা করেন। নরেন্দ্র মোদী যা বলেন তা করেন না। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোদীর আসল পার্থক্য। কন্যাশ্রীর টাকা, রূপশ্রীর টাকা সবার ব্যাঙ্কে দিয়েছেন, ফ্রি-তে রেশন সবাইকে এখনও দিচ্ছেন। কিন্তু মোদী কথা দিয়েও এখনও অবধি ১৫ লক্ষ টাকা দেয়নি।”
এরপরই এনআরসি প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “আসামে ভোট হয়ে গেছে। আবার ১৯ লক্ষ মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বলে নোটিশ দিয়েছে। অসংখ্য বাঙালির বাড়িতে ডি-ভোটারের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে ওরা। আসলে বিজেপি বাঙালির প্রধান শত্রু। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যতদিন ক্ষমতায় আছি কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না। নারী নির্যাতনে উত্তরপ্রদেশ প্রথমে, আর সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বাংলায় এসে বলছেন, এখানে নারী সুরক্ষা ভাল না। কেন্দ্রেরই দেওয়া পরিসংখ্যান দেখুন। নারী সুরক্ষায় বাংলা কত উপরে দেখতে পাবেন।”