দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই তা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। করোনা বিধ্বস্ত একের পর এক রাজ্যে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। কোথাও বেড নেই তো কোথাও নেই অক্সিজেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিষেধক থেকে বয়সবিধি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দিল্লীতে ৬৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তর বয়স ৩৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে তাই এখানে করোনা প্রতিষেধকের বয়সবিধি তুলে নেওয়া উচিত।’
কেজরির মতে, করোনাভাইরাসের শৃঙ্খল তখনই ভাঙা সম্ভব যদি প্রত্যেককে করোনা টিকা দেওয়া যায়। তাই টিকায় বয়সবিধি তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তবে শুধু দিল্লী নয়, সারা দেশের তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগের থেকে বেশি বিধ্বস্ত হচ্ছেন তরুণরা। দেশে প্রথমে করোনা টিকা পেয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধারা। এরপর ৬০-ঊর্ধ্ব প্রবীণ ও ৪৫-ঊর্ধ্ব কো-মর্বিডিটিযুক্তরা করোনা টিকা পেয়েছেন। এখন টিকা পাচ্ছেন ৪৫-ঊর্ধ্বরা। এর আগেও কেজরিওয়াল ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সব বয়সীদের জন্য করোনা টিকা চেয়েছিলেন। তবে টিকায় বয়সবিধি তুলে দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, এখনও টিকাকরণ থেকে বয়সবিধি তুলে নেওয়ার সময় আসেনি।