এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে বিধ্বংসী রূপে ধরা দিলো বেঙ্গালুরু এফসি। গতকাল দ্বিতীয় পর্যায়ের ম্যাচে নেপালের ত্রিভুবন আর্মি এফসিকে ৫-০ গোলের বিরাট ব্যবধানে চূর্ণ করে প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জন করলেন সুনীল ছেত্রীরা। জোড়া গোল করেন রাহুল ভেকে ও ক্লেটন সিলভা। একটি গোল করেন সুনীল। মঙ্গলবারের এই জয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে দলের নয়া কোচ জার্মানির মার্কো পেৎজাইউলির কাছেও। আইএসএলের মাঝপথেই সুনীলদের দায়িত্ব ছাড়েন কার্লেস কুদ্রাত। জার্মানির অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জাতীয় কোচিং করানো মার্কোর এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ।
সদ্য শেষ হওয়া সপ্তম আইএসএলে সপ্তম স্থানে শেষ করেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এহেন পারফরম্যান্সের জেরে স্বভাবতই হতাশ হয়েছিলেন খেলোয়াড়, এমনকি সমর্থকরাও। তবে সেই হতাশা ভুলতে এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করেছেন সুনীলরা। বুধবার গোয়ায় প্রথম থেকেই আধিপত্য ছিল বেঙ্গালুরুর। শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করেন উদান্তা সিংহ। ২৩ মিনিটে এই বেঙ্গালুরু তারকাই বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে সুনীল ও ক্লেটন সিলভার উদ্দেশ্যে। কিন্তু দু’জনের কেউই বল স্পর্শ করতে পারেননি। ৪৪ মিনিটে সুনীলের শট বিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে আসে। বল ধরে আশিক কুরুনিয়ন যে শট নেন, তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার পরে ছবিটা পুরোপুরি বদলে দেন সুনীলরা। ৫১ মিনিটে ক্লেটনের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে বেঙ্গালুরুকে ১-০ এগিয়ে দেন রাহুল। এক মিনিটের মধ্যেই ফের গোল। এ বার নেপথ্যে সুনীল। মঙ্গলবার ত্রিভুবন আর্মি এফসি-র বিরুদ্ধে গোল করে এবং করিয়ে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখলেন সুনীল। ৬১ মিনিটে বেঙ্গালুরু অধিনায়কের পাস থেকেই ৩-০ করেন ক্লেটন। দু’মিনিটের মধ্যেই ফের গোল করে ৪-০ করেন ব্রাজিলীয় তারকা। ৬৫ মিনিটে ৫-০ করেন রাহুল।