ভোট এলেই এজেন্সি লেলিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা করে বিজেপি। এই অভিযোগ নতুন নয়। আর সেই অভিযোগ যে মিথ্যে নয় এবার ফের প্রমাণ মিলল তার। কিছুদিন আগেই সারদা তথা চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, শাসক দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। এবার ফের ভোটের মধ্যেই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর মামলা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। ইডির আধিকারিকদের নজরে এবার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ইডি সূত্রের খবর, আইকোর অর্থলগ্নিকারী সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল। সে বিষয়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হচ্ছে। পার্থর সঙ্গে আইকোরের কোনও লেনদেন রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন ইডির গোয়েন্দারা। আইকোর মামলার তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও এবার ডেকে পাঠিয়েছে ইডির আধিকারিকরা। বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সঙ্গে আইকোরের কোনও বিষয়ে লেনদেন হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডির গোয়েন্দারা। আগামী সপ্তাহে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পার্থ এবং বাপ্পাদিত্যকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আইকোর মামলায় তলব করেছিল সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি মন্ত্রী। সেই বিষয়ে সিবিআইকে চিঠিও দিয়েছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি। ভোটের মধ্যেই বারবার বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি মামলায় তৃণমূল নেতাদের ডেকে পাঠানোর মধ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল নেতাদের দাবি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এর পাশাপাশি আজ সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মদন মিত্রর পিএ বাপি করিমকে তলব করেছে ইডির আধিকারিকরা।