শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ফিরেলেন ভোটপ্রচারের মূলস্রোতে, তাঁর রুটিন সভায়। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির জনসভায় তাঁর অস্ত্র হলো এনআরসি এবং করোনা। আত্মবিশ্বাসের বার্তা ছড়িয়ে দিতে মমতা বললেন, ওরা আগে ৭০ ক্রস করুক তারপর ২৯৪ আসনে লড়বে।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি অঞ্চল উদ্বাস্তু অধ্যুষিত। আর এই উদ্বাস্তু ভোটেই নজর বিজেপির। কাজেই এ দিন বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বাস্তু প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তিনি বলেন, ‘কোনও উদ্বাস্তু আর উচ্ছেদ হবে না। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের জায়গাতে যারা বসেছে তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হবে না’।
মমতা জলপাইগুড়িতে সভা করার আগেই শীতলকুচি ঘুরে এসেছেন সেই প্রসঙ্গও এল কথায় কথায়। বললেন, ‘আমি আজ শীতলকুচি। দেখলাম এক অন্তঃসত্ত্বার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। একটা এক মাসের বাচ্চাকে দেখলাম বাবাকে। আনন্দের পরিবারের সাথে কথা হল, আমার খুনোখুনি ভালো লাগে না, কেন রাজনৈতিক খুনোখুনি হবে! এনপিআর যেমন লজ্জা, তেমন লজ্জার হল এই খুন’। এই প্রসঙ্গেই সায়ন্তন বসু, বা দিলীপ ঘোষদের মন্তব্য টেনে এনে সমালোচনাও করেন মমতা। বলেন, গুলি চালানোর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। বলছে আরও গুলি করে দাও। এটা নাকি একটা দল।
লোকসভা ভোটে গোটা উত্তরেই ফল ভালো হয়নি। সে কথা কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, বারবার বিজেপিকে ভোট দিলে জেনে রাখুন ওরা আপনাদের সুরক্ষিত রাখবে না আসে এনআরসি প্রসঙ্গ মমতা বলেন। আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো শুরু হয়েছে বাংলায় কিছুতেই এনআরসি এনবিআর করতে দেবো না।
করোনা প্রসঙ্গেও দিন বিজেপি-কে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন কোভিডের ইনজেকশন কেন্দ্র দিচ্ছে না। আমি কিছু জোগাড় করেছি, কাল থেকে দেবো। করোনার সময় অমিত শাহ-মোদি কিছু করল না। এখন বাইরে থেকে লোক এনে কোভিড বাড়াচ্ছে ।