পরপর চারটি সভা করছেন উত্তরবঙ্গে। তারই মধ্যে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে দলীয় প্রার্থী গৌতম দেব ও শিলিগুড়ির প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্রের সমর্থনে সভা করেন তিনি। আর সেখান থেকেই ওমপ্রকাশ মিশ্রকে সামনে এনে মমতা বলেন, ‘অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে কোনও কাজ করে না। তাও জিতে যায়। সব কাজ করে দিই আমরা। আর উনি জয়ী হন। এবার আমাদের ওমপ্রকাশকে আপনারা জেতান।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হলেও শিলিগুড়িকে এখনও ‘বামদুর্গ’ করে রেখেছেন অশোক ভট্টাচার্য। বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরবোর্ডেরও দখল নিজের হাতেই রেখেছিলেন তিনি। শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা-সহ একাধিক কর্মসূচি নিলেও সেখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসক দল তৃণমূল। এবারের নির্বাচনে তাই তৃণমূলকে একটা সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানান তৃণমূল নেত্রী।
বস্তুত গোটা উত্তরবঙ্গেই লোকসভা ভোটে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। উত্তরের ৫৪ আসনের মধ্যে অধিকাংশতেই পিছিয়ে তৃণমূল। বৃহৎ শক্তি হিসেবে উত্তরবঙ্গের একচেটিয়া দখলদারি নিয়ে নেয় বিজেপি। তাই নবান্ন দখলে রাখতে উত্তরের আমজনতার কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছেন মমতা। এদিনও তিনি বলেন, ‘উত্তর আমায় ভালো রেজাল্ট দিলে এখানে আমি একটা খেলা উৎসব করব। এরপরের আমি যেন শিলিগুড়িতে হাসিমুখে আসতে পারি।’
আর উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ধসাতে এদিন বারবার এনআরসি-র প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। বলেন, ‘বারবার বিজেপিকে ভোট দিলে জেনে রাখুন, ওরা আপনাদের সুরক্ষিত রাখবে না। মিথ্যে কথা বলছে এনআরসি নিয়ে, বলছে এনআরসি নাকি করবে না। সেই বিল কিন্তু এখনও আছে। আর শুনে রাখুন, অসমে ভোট শেষ হতেই কাজ শুরু করে দিয়েছে, বলছে আপনি জবাব দিন, কেন আপনাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না! ভাবুন, এরা এলে আপনাকে আর আপনার জায়গায় থাকতে দেবে না।’