তিনি কোনওরকম বিভাজনে বিশ্বাস করেন না। যার সঙ্গেই অন্যায় হোক, তাঁরই পাশে দাঁড়ান। ধুপগুড়ির সভা থেকে আরও একবার তা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ধুপগুড়িতে মমতার সভায় উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীরে জঙ্গীদের গুলিতে শহীদ হওয়া জওয়ান জগন্নাথ রায়ের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। জানিয়ে দিলেন, ভোটপর্ব মিটলেই তাঁর সরকার শহিদ জওয়ানের পরিবারের সব দায়িত্ব নেবে।
বারামুলায় জঙ্গীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন ধুপগুড়ির জগন্নাথ রায়। মর্মান্তিক ঘটনার পরই তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন ধুপগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আলাদা করে শ্রদ্ধা জানানো হল জওয়ানকে। মমতার সভামঞ্চে রাখা হয়েছিল শহিদ জগন্নাথ রায়ের ছবি। তৃণমূলনেত্রী সভা শুরুর আগে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সভামঞ্চে ডেকে নেন তাঁর স্ত্রীকে। সঙ্গে ছিল জগন্নাথ রায়ের শিশুসন্তানও। মমতাকে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন জগন্নাথের স্ত্রী। মমতাময়ী মায়ের মতোই তাঁকে সামলান তৃণমূল নেত্রী। জানিয়ে দেন, তাঁর পরিবারের দেখাশোনার সব দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে।
এরপরই জগন্নাথের পরিবারের প্রতি অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনও পুলিশ মারা গেলে আমরা সবরকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকি। কিন্তু বিএসএফ বা সিআরপিএফের কেউ মারা গেলে কেন্দ্র দেখে না কেন’? সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘অমিত শাহ তো এখানে এসেছিলেন।জগন্নাথের পরিবারের সঙ্গে তো দেখা করেননি। আসলে এখন ভোটের সময় তো? প্রচারে ব্যস্ত। এখন আর এঁদের কথা মনে রাখার সময় কোথায়’!