আগামী শনিবার বাংলায় পঞ্চম দফার ভোট। ঠিক তার আগে আজ নদীয়া জেলার রানাঘাটে জোড়া জনসভা করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার চালানোর কথা নিয়ে বিজেপিকে রীতিমত তুলোধনা করলেন অভিষেক। বলেন, “আসাম, বিহার, মধ্যপ্রদেশ-সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার চলছে। কিন্তু তাতে কোন রাজ্যের উন্নতি হয়েছে, সেটা বিজেপি পরিসংখ্যান দিয়ে জানাক।”
অভিষেক বলেন, “আসামে এনআরসির নাম করে ১৯ লক্ষ মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি রয়েছে। বাংলায় এলেও মোদী-শাহ এটাই করার চেষ্টা করবে। এবছর ভোট শেষ হতেই বাঙালিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডি-নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এখানে বাঙালি-প্রীতি দেখিয়ে আসামে বসবাস করা বাঙালি-হিন্দু জনগণকে ওঁরা সন্দেহের তালিকাভুক্ত করে দিচ্ছে।”
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত ১০ বছরের রাজ্য পরিচালনার কথা তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি বলেন, “২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে গত ১০ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একটা মানুষের ওপরেও ১০ পয়সার করের বোঝা চাপিয়ে দেননি। বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সবই ফ্রি-তে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছেন। এবারও আমরা ক্ষমতায় এসে পড়ুয়াদের লোনের ব্যবস্থা করব, বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। বিজেপি আগে এগুলো কেন্দ্রে এবং ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার চালিত রাজ্যে করে দেখাক। তারপর বাংলা দখলের কথা ভাববে।”