মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের সভা থেকে গোর্খাদের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু কোন পথে আসবে সেই সমাধান তার কোনও কথাই বললেন না তিনি। এককথায় গোর্খাল্যান্ডের কথা মুখেই আনলেন না শাহ। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির আগাগোড়াই মিথ্যে বলে বর্ণনা করলেন জিটিএ চেয়ারপার্সন বিনয় তামাং। অন্যদিকে, কেন্দ্রের অবস্থায় স্পষ্ট করার জোরালো দাবি জানালেন গৌতম দেব।
দার্জিলিংয়ের সভায় আজ অমিত শাহ বলেন, “আমি জানি গোর্খা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে তার একটা চিন্তা আপনাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমাদের সংবিধান অনেক বড়। আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি পাহাড় সমস্যার সমাধান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে করবে। আপনাদের আর আন্দোলন করতে হবে না। এর একটা স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করা হবে। রাজ্যে বিজেপি সরকার এনে দিন, ১১ গোর্খা গোষ্ঠীকে তপলিসি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া হবে।”
এ নিয়ে জিটিএ চেয়ারপার্সন বিনয় তামাং বলেন, ভোট এলেই বিজেপির নেতারা দার্জিলিং পাহাড়ে চলে আসেন। ২০১৪ সালেও নরেন্দ্র মোদীও এমন কথাই বলেছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, “গোর্খাদের স্বপ্ন আমরা পূরণ করব। এখন ২০২১ সাল। সাত বছরে কিছুই তো হল না। ২০১৯ সালেও এই অমিত শাহ এখানে এসে বলেছিলেন গোর্খাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান আমরা করে দেব। আজও উনি একই কথা বলছেন। ভোট এলেই গোর্খাদের কথা ওদের মনে পড়ে। এসব মিথ্যে আশ্বাস। কিছুই করবেন না ওঁরা।”
এ প্রসঙ্গে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী ও প্রাক্তন মন্ত্রী মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “অমিত শাহ কতখানি বেপরোয়া তা বোঝা যাচ্ছে। কেননা খুব বড় পরাজয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। গত ৭ বছর কেন্দ্রে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। দার্জিলিংয়ে তাদের একজন ফুলটার্ম এমপি ছিলেন, অন্য একজনের ২ বছর হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পাহাড়ে একটা উন্নয়নের কাজও তারা করেননি। তাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে, কেন্দ্র কি বাংলাকে ভাগ করতে চায়? এটি অমিত শাহের পরিষ্কার করা উচিত। পাহাড়ের মানুষ এক জবাব দেবেন।”