৩ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের ধর্না প্রত্যাহার করে কালীঘাটে বাড়ির পথে রওনা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সন্ধ্যের সভার আগে তিনি রাজভবনে যেতে পারেন। অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর আগামীকালই মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় সেনার গুলিতে মৃত চার যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। সব মিলিয়ে ঘেরাও মন্তব্যে নিষেধাজ্ঞা থেকে ধর্না-দিনভর প্রচারের আলো শুষে নিলেন তৃণমূল নেত্রী। দিনভর টুইটারে ট্রেন্ডিং হল, গণতন্ত্রের কালো দিন।
এ দিন সকাল ১২টার সময় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন মমতা। সেনাবাহিনী সমবেত ধর্নার অনুমতি না দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অনুগামী-সমর্থকদের সঙ্গে রাখতে চাননি। ছিল না কোনও দলীয় পতাকাও। একাই একটি তাঁবুর তলায় বসে তিনঘণ্টার বেশি সময় কাটান তিনি। বেশ কয়েকটি ছবি আঁকেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ভিড় জমায় তাঁর এই অভিনব সত্যাগ্রহ সম্প্রচারে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা এতে তাঁর ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হল। কারণ, একটি সাধারণ জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটা প্রচার পেতেন না। একটি বা দুটি এলাকাভেদে সব স্তরের কর্মীদের মনোবল এভাবে চাঙ্গা করা যেত না। কিন্তু এভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রচারের মধ্য দিয়ে দলের নীচুতলায় তো বার্তা গেলই, পাশাপাশি বিরুদ্ধস্রোতকেই অনুকূলে টেনে নিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নামঞ্চে থাকাকালীনই অখিলেশ যাদব তাঁকে নিয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে বাধাদান আসলে বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলায় বিজেপি হারছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান সমাজবাদী দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে। অর্থাৎ পর্যবেক্ষকদের মত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার সর্বভারতীয় স্তরে যে বিরোধী জোটের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, সেই ছবিটাও তুলে ধরা গেল এই মঞ্চকে ব্যবহার করে। এদিন ঘটনাস্থলে ভিড় করেছিলেন উৎসাহী জনতা থেকে তাঁর দলীয় সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সন্ধ্যায় দুটি সভা করবেন। প্রথম সভাটি তিনি করবেন বারাসতে চিরঞ্জিতের সমর্থনে। দ্বিতীয় সভাটি হবে বিধাননগরে প্রার্থী সুজিত বসুর সমর্থনে। আগামীকাল তিনি শীতলকুচি যাচ্ছেন বলেই খবর।