সপ্তম আইএসএল চলাকালীন মুম্বই সিটি এফসি ছেড়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন সার্থক গলুই ও সৌরভ দাস। আগামী মরসুমে তাঁদের রেখেই দল গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এখনও ইনভেস্টরের চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর না করায় স্থগিত হয়ে গিয়েছে দল গঠনের প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সার্থক-কে প্রস্তাব দিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি ও কেরালা ব্লাস্টার্স। গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে নিতে আগ্রহী ওড়িশা এফসি। দুই ফুটবলার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁদের নিয়ে কী ভাবছেন, জানতে চেয়েছেন। এদিকে, লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের কর্তারা আরও একবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, চূড়ান্ত চুক্তিতে সই না হওয়া পর্যন্ত দল গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
আইএসএলের বাকি দলগুলি যখন ইতিমধ্যেই পুরোদমে দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে, লাল-হলুদ শিবিরে তখন শুধুই আঁধার। লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা বলেই দিলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছি। ইস্টবেঙ্গল চূড়ান্ত চুক্তিতে সই না করলে আমরা আর বিনিয়োগ করব না।’’ যোগ করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে স্বাক্ষরিত হওয়া টার্মশিট ও চূড়ান্ত চুক্তির মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে, তা জানতে চেয়ে গত ২৪ মার্চ ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এখনও জবাব পাইনি। তা হলে কেন দল গড়ার উদ্যোগ নেব?’’
দলের বিদেশি ফুটবলাররাও ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছেন। জার্মান মিডফিল্ডার মাত্তি স্টেইনম্যানের সঙ্গে আরও এক মরসুম চুক্তি রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তা সত্ত্বেও তিনি কথাবার্তা চালাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন রোর-এর সঙ্গে। সূত্রের খবর, ক্লাব কর্তাদের অনুরোধ করেছেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ব্রাইটের কাছেও একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা বললেন, ‘‘আমাদের কিছু করার নেই। ফুটবলারদের দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। ওদের নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতেই হবে। ফুটবলারদের আমরা চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে ওদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু দিন অপেক্ষা করার অনুরোধই শুধু করতে পারি।’’