গত কয়েকমাস যাবৎ প্রতি সপ্তাহেই রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা- এঁরা সকলেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা বা নির্বাচনী প্রচার করতে এসে সাধারণ গৃহস্থের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করছেন। আসলে তাঁরা বোঝাতে চাইছেন যে, সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই রয়েছেন তাঁরা। এই মধ্যাহ্নভোজকে শাহ-নাড্ডারা প্রায় ভোট স্টান্টের জায়গায় নিয়ে গেছেন। কিন্তু কখনো কী ভেবে দেখেছেন উনি যা খান, আর যেভাবে খান সেটা কী আদৌ সেই মানুষটার পক্ষে জোগানো সম্ভব!
সম্প্রতি হাওড়ার ডোমজুড়ে প্রচারে এসে এক সাধারণ ভ্যানচালকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেন তিনি। খান ডিজাইন করা মাটির, থালা, বাটি, গ্লাসে। যা কিনতে খরচ করতে হয় বেশ খানিকটা গ্যাটের কড়ি। যেই সামর্থ্য ওই ভ্যান চালক শিশির বাবুর নেই বললেই চলে। ওনার দৈনিক রোজগার ১৫০-২০০ টাকা। আর এই ধরনের মানুষগুলো কখনোই একবার ব্যবহার যোগ্য মাটির বাসনে খান না।
এবার আসা যাক সেদিনের গ্র্যান্ড মেনুতে। মেনুতে ছিল গ্রিন স্যালাড, রুটি, ঘি, বাদাম, কিসমিস দিয়ে লাল শাক ভাজা, সবজি দিয়ে মুগ ডাল, আলু ঢ্যাঁড়স ভাজা, এঁচোড়ের তরকারি, পটল পোস্ত, চাটনি, পাঁপড়, দই, মিষ্টি। যাতে ব্যক্তি পিছু খরচ হয় প্রায় ৭০০ টাকা। সেদিন ওঁর বাড়িতে খেয়েছেন মোট ৭জন। এই পরিমান পঞ্চ ব্যঞ্জনের আয়োজন করা কী একজন ভ্যান চালকের পক্ষে সত্যিই সম্ভব! ভেবে দেখেছেন কখনো? এই টাকা আসছে কোথা থেকে? কে জোগাচ্ছে এই টাকা? তাহলে কি সত্যিই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যাহ্নভোজের খাবার আসে পাঁচতারা হোটেল থেকে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী মহলে।