আজ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটের ক্রোড়পতি লিগ। গত বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হলেও এ বারের আইপিএল মরসুম ফের অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতে। এককথায় ঘরে ফিরল আইপিএল। তবে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার একদিন বাকি থাকতে ভালই বোঝা যাচ্ছে, কাজটা আগের বারের থেকেও অনেক বেশি কঠিন। কারণ, করোনার করাল হাতছানিতে ফের আশঙ্কায় ভুগছে দেশ।
উল্লেখ্য, গত বারের আইপিএল শেষ হওয়ার পর থেকেই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বাকি বোর্ডকর্তারা বার বার বলে আসছিলেন যে, এ বারের আইপিএল ভারতেই হবে। সেটাই তাঁরা করে দেখিয়েছেন। কিন্তু করোনার প্রভাব কমেনি। তাই আয়োজনের মাত্রা বেড়েছে অনেকটাই। তবুও রোগ ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবং কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। বোর্ডকে রোজই নিত্যনতুন ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে। সে দিক থেকে এ বারের আইপিএলও হতে চলেছে অন্যরকম পরিবেশেই। জৈব সুরক্ষা বলয়, নিভৃতবাস, করোনা, ইত্যাদি শব্দ এ বারেও পিছু ছাড়ছে না ধোনি, কোহলি, রোহিতদের।
প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাঝে কমার পর আশা করা গিয়েছিল দর্শকদের মাঠে দেখা যাবে। সেই সম্ভাবনায় এখন বিশ বাঁও জল। বিরাটদের তাই এবারও খেলতে হচ্ছে দর্শকহীন স্টেডিয়ামেই। দুবাই, আবু ধাবির মতো এখানেও স্টেডিয়ামে কৃত্রিম ভাবে দর্শকদের আওয়াজ শোনানো হবে। তাই শুনেই নিজেদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে ক্রিকেটারদের। মাঠে হাজির থাকতে দেখা যাবে না সমর্থকদের। অন্তত প্রতিযোগিতার প্রথম ভাগে তো নয়ই। করোনার প্রকোপ কমলে শেষ দিকে সমর্থকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
দেশের মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, দিল্লীর মতো শহরে এখন লকডাউনের মতো অবস্থা। এ অবস্থায় ক্রিকেটারদের যাতায়াত যতটা সম্ভব কমিয়ে আনাই লক্ষ্য ছিল বোর্ডের। তাই কোনও দলকেই তিন বারের বেশি বিমানযাত্রা করতে হবে না। শুধু তাই নয়, মাঠে সমর্থকদের উন্মাদনার সম্ভাবনা প্রায় না থাকায় কোনও দলকেই এ বার নিজেদের ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে গত বারের মতোই ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ থাকছে না এবারও। আইপিএল হয়ে পড়েছে আরও প্রযুক্তি-নির্ভর। করোনা ঠেকাতেই হোক বা দর্শকদের মনোরঞ্জন দিতে, নিত্যনতুন ভাবনাচিন্তা আনতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছেন না আয়োজকরা।
দলগুলির মধ্যে শক্তির বিচারে এ বারেও এগিয়ে মুম্বই। তবে কালো ঘোড়া হতে পারে দিল্লী ক্যাপিটালস। বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরই মত, এ বারের আইপিএলে সব থেকে বেশি ভারসাম্যযুক্ত দল তাদের। গত বার হতাশ করার পর এ বার শক্তিশালী হয়ে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা নাইট রাইডার্সও শক্তি বাড়িয়েছে। চমক দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস, পঞ্জাব কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মতো দলও।