দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আগামী দুদিন উত্তরবঙ্গেও আসতে পারে কালবৈশাখী। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে সম্ভাবনা রয়েছে শিলাবৃষ্টিরও। এমনই জানাল আবহাওয়া দফতর। তবে আজ সকাল থেকে কোনও কোনও জায়গায় ঝিমিয়ে পড়া রোদ। সঙ্গে অস্বস্তি বেড়েছে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে একডিগ্রি বেশি।
প্রসঙ্গত, পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং সংলগ্ন বিহারের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে আগামী ৩-৪ দিনে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় হতে পারে। এছাড়াও মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া, বিদর্ভ, ছত্তিশগড়ে আগামী পাঁচ দিন বিচ্ছিন্নভাবে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। অসম, মেঘালয়ে বৃহস্পতিবার এবং অরুণাচল প্রদেশে শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, ১০ই এপ্রিল রাত থেকে নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিতে পারে। যার ফলে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট, বালতিস্তান, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে রবিবার ও সোমবার নাগাদ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় হতে পারে। বাকি দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ শনিবার নাগাদ উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় হতে পারে। যার গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি। আগামী ৪-৫ দিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৪৮ ঘন্টায় সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঝড়ের বেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি। সঙ্গে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার নাগাদও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা এবং ঝাড়গ্রামে একই পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে আগামী ৪-৫ দিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।