বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে এই দীর্ঘ সফরে তাঁকে ধাক্কাও খেতে হয়েছে। যদিও সেই ধাক্কাকে শিক্ষা হিসেবেই নিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে সাফল্যের শিখরে থাকলে বন্দুকের গুলিও হজম করতে হয়। সেটা হজম করার মতো সাহস থাকা দরকার।
প্রসঙ্গত, তখন গ্রেগ চ্যাপেলের সময় চলছে। ২০০৫ সালে অধিনায়কত্ব হারানোর পর ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন মহারাজ। তবে দমে যাননি। সেই বছর ১৫ই ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটান সৌরভ। সেই প্রসঙ্গ তুলে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলছেন, “জীবনে কোনও কিছুর নিশ্চয়তা নেই। সাফল্য পেলে গুলি খাওয়ার জন্যও তৈরি থাকতে হবে। সবাইকে চাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু চাপকে দূরে সরিয়ে রেখে সাফল্যের সঙ্গে কাজ শেষ করতে পারলে দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। এটা শুধু ক্রিকেট নয়। সমাজের যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।”
পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে নিজের ক্রিকেট জীবনের খারাপ সময়ের কথাও তুলে ধরেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। শেষে বললেন, “টেস্টে অভিষেক হওয়ার আগে এক রকম চাপ ছিল। যখন দলে প্রতিষ্ঠা পেলাম তখন অন্য রকম চাপ তৈরি হয়েছিল। এরপর যখন অধিনায়ক হলাম তখন চাপ আরও বাড়ল। ২০০৫ সালে দল থেকে বাদ যাওয়া কিংবা প্রত্যাবর্তনের চাপ ছিল অনেক বেশি কঠিন। তাই পেশাদার জগতে টিকে থাকতে হলে চাপ নেওয়ার মানসিক ও শারীরিক শক্তি থাকতেই হবে।”