গলদ ছিল ছত্তিসগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানের পরিকল্পনায়। অপারেশন যথাযথভাবে শেষও হয়নি। শনিবার বিজাপুরে মাওবাদী হানায় ২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার পরে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিং বলেছিলেন, জওয়ানদের কাছে ভুল খবর ছিল না। অভিযানেও কোনও ভুলভ্রান্তি হয়নি। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই মন্তব্যটি ট্যাগ করে রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে মাওবাদী ও সিআরপিএফের সমসংখ্যক মানুষ মারা গেল কীভাবে? গোয়েন্দা তথ্যে যদি ভুল না থাকে, তার মানে অপারেশনের পরিকল্পনায় ভুল ছিল।
একটি সূত্রে খবর, ভুল গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে জওয়ানদের ফাঁদে ফেলেছিল মাওবাদীরা। শনিবার সিআরপিএফের কাছে খবর যায়, দুই শীর্ষস্থানীয় গেরিলা কম্যান্ডার লুকিয়ে আছে জাগেরগুন্ডা-জোনাগুন্ডা-তাররেম অঞ্চলে। তাদের নাম মাদভি হিদমা এবং সুজাতা। মাওবাদীদের পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির দুই কম্যান্ডারকে ধরার জন্য ছ’টি সিআরপিএফ ক্যাম্প থেকে ২ হাজার জওয়ানকে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কোবরা ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা।
হিদমা ও সুজাতার সন্ধানে জওয়ানরা তাররেম অঞ্চলে যেতেই তিনদিক থেকে তাঁদের ঘিরে ফেলে মাওবাদীরা। মোট ৪০০ জঙ্গি জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি করতে থাকে। জওয়ানরাও গুলি চালিয়ে পালটা জবাব দেন। মাওবাদীরা জঙ্গলের আড়ালে লুকিয়ে থাকায় জওয়ানদের তরফে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। সিআরপিএফ জানিয়েছে, ২২ জন জওয়ান কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন। মাওবাদীরা দুই ডজন অ্যাসল্ট রাইফেল লুট করেছে।